![]() |
Advertisement |
দিনাজপুর জেলার এক একটি ইতিহাসের পাতায় রয়েছে ------
চার শ বছরের প্রাচীন মোগল আমলের মধ্যযুগীয় স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি। হিন্দু, মুসলিম ও ইংরেজ এ তিন যুগের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যর বিচিত্র দৃষ্টিনন্দনের সমাবেশ এ রাজবাড়ি টি।এ রাজবাড়ি টিকে আর ও সংস্কার ও পরিচ্ছন্ন সহ নিরাপওার ব্যবস্হা নেওয়া হলে এটি আরও পঢ়টক এবং দশ্নাথীদের পদচারনায় মুখর হবে।
পরবর্তী প্রজন্ম কে সঠিক ইতিহাস জানান দিতে এর রক্ষনাবেক্ষনের পাশাপাশি প্রয়োজন তথ্য সংরক্ষণ ও। উপমহাদেশে বিভাগের পর রাজবংশ উচ্ছেদ হয়।এর ফলে পরিত্যক্ত হয় এ রাজবাড়ি ও। রাজবাড়ি মূল বাড়ি টি ৩০ বিযা জমির ওপর প্রতিষ্ঠাত।
সামন্ত যুগীয় রাজবাড়ি কে জড়িয়ে সত্য মিথ্যা অনেক যটনা যেমন প্রচলিত আছে তেমনি রাজবাড়ির ক্ষেএেও আছে।
এক সময় ছিল তখন পায়ে জুতা,মাথায় ছাতা এমনকি গায়ে জামা-কাপড় পড়ে সজ্জিত হয় কোনো প্রজার পক্ষে রাজবাড়ী ও গেটের সামনের পথ অতিক্রম করার মতো ধৃষ্টতা ছিল শাস্তি যোগ্য অপরাধ। কেউ এ অপরাধ করলে তার প্রাপ্য ছিল পাইক- পেয়াদার হাতে জুতাপেটা বা লাঠি গুতার পুরস্কার। এ ধরনের অনেক কথা শোনা যায় | ইতিহাস বিদ মেহরাব আলীর লেখা ইতিহাস থেকে জানা যায়,রাজাবাড়ির প্রধান দরজাটির নাম নাগদরজা। এটি কৃষ্ণ পাথরে নিমিত। দরজাটির চৌকাঠের উচ্চতা ৭ ফুট।এ উপমহাদেশে আর কোথাও সপমূতি দিয়ে এ ধরনের অদ্ভুত ভাস্ককযময় দরজা আছে বলে জানা যায়নি।
বতমানে এটি ঢাকা জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। চারিদিকে থেকে সুউচ্চ প্রাচীর যেরা রাজবাড়ির অনেক প্রবেশদ্বার।এর মধ্যে ধমাদেউড়ী,বেলতলীর দেউড়ী,,,,,,,,
নাট মন্দিরে যাওয়ায় দ্বার,,,,
ঠাকুরবাড়ির দেউড়ী,হাতিশালার দেউড়ী,হীরাবাগ দেউড়ী অন্যতম।
রাজবাড়ীর প্রধানত দুটি অংশ আয়নামহল ও রানিমহল।এ ছাড়া আছে ঠাকুরবাড়ি ও হীরাবাগ এলাকা।
আয়না মহল দ্বিতল ভবন।এ ভবনের দোতলায় রাজ দরবার,জলসাযর,মিছিলঘর,অতিথি ভবন,সভাকক্ষে ও নিচতলায় রাজা প্রাননাথ ও রাজা রামনাথের আমলে আয়নামহল নিমিত হয়।এ মহলের অধিকাংশ কক্ষ ভগ্নদশা।এ মহলের অধিকাংশ কক্ষ ভগ্নদশা। মূল প্রাসাদসহ বৃহত্তর রাজাবাড়ি প্রায় ১০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠান।
এ রাজবাড়িতে ১১ জনের মতো রাজা রাজত্ব করেন।এরা হচ্ছেন-
শুকদেব রামদের,
জয়দেব,
প্রাননাথ,
রামনাথ,
বৈদানাথ
রাধানাথ,
গোবিন্দনাথ,
তারকানাথ,
গিরিজিনাথ,
ও জগদীশনাথ
শেষ জগদীশনাথের এক ছেলে ছিলো জলনিনাথ
লেখক- মনিরুল ইসলাম মুন্না।
প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ১৯৪১ সালে জলনিনাথ প্রান হারান
রাজগদিতে উপবেশন না করলে ও রাজকুমার ছিলো রাজবংশের শেষ উওররাধিকারী।বতমানে রাজবাড়ির ভিতর রাজার আমল থেকে কান্তজিউ মন্দিরে পূজা পাবন চলে আসছে এবং আরেকটি অংশ নিয়মিত দূগাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
ভগ্নদশা এবং রাজবাড়ি এলাকায় বসত বাড়ি গড়ে ওঠায় সংকুচিত হয়ে আসছে এর পরিধি যা একদিন শুধু ইতিহাসের পাতায় থাকবে।দিনাজপুর সভাপতি বলেন স্থানীয়রা সংস্কার করে পযটন এলাকা হিসাবে গড়ে তুলবে।

লেখক-মোঃমনিরুল ইসলাম মুন্না প্রাচীন ইতিহাসের নাগদরজার রাজবাড়ি।
ইতিহাস আর একটি কথা
উত্তরমুছুন