![]() |
Advertisement |
প্রতিবেদন লিখেছেন -মোঃমনিরুল ইসলাম মুন্না।
পাঁচ শতাব্দীর অধিক কালের পুরাতন এই বিশালায়তন এ মসজিদটি হজরত খানজাহান (রঃ) কতৃক নিমিত কারম্নকায খচিত এই মজিদটি।
ষাট গম্বুজ মসজিদ দরগাহহতে প্রায় ২ কিলোমিটার পশ্চিমে দিকে মেইন রোডের সড়কেই অবস্থিত।মসজিদ টি স্থাপত্য কৌশালে ও লাল পোড়া মাটির উপর লতাপাতার অলংকার মধ্য যুগের স্থাপত্য শিল্পের এ মসজিদ এক বিষেশ মহান স্হান যুগ যুগ ধরে অধিকার করে আসছে।
যদিও মধ্যে যুগ থেকে ইহা ষাট গম্বুজ মসজিদ নামে পরিচিত, ইহাতে প্রকৃত মসজিদের চারটি গম্বুজ কন্যরে অবস্থিত এবং বাকি ৭৪ টি গম্বুজ মধ্যে আছে।
মসজিদের গম্বুজ সারি ৭ টি চৌচালা সহ ৮১ টি গম্বুজ অবস্থিত।
এটির বিশেষ ভাবে লক্ষনীয় বিষয়, এর প্রার্থনা কক্ষের রয়েছে চৌচালা ছাদ ও গম্বুজ গুলোর মধ্যে ইট ও পাথরের ষাটটি খাম্বার দ্বারা উপর নিমিত।
এখানে জনশ্রুতি আছে যে- হযরত খানজাহান (রঃ) ষাট গম্বুজ মসজিদ নিমানের জন্য সমুদ্রয় থেকে ভাশিয়ে এনে ছিলো চট্টগ্রাম, মতামত্নরে ভারতের অবস্থিত উড়িষ্যার রাজমহল থেকে হযরত খানজাহান আলী (রঃ) তার অলৌকিক ক্ষমতার বলে জলপথে ভাসিয়ে এনেছিলেন।
ইমারতটির গঠন তুঘলক স্থাপত্যে বিশেষ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছিলো।
এই বিশাল মসজিদের চতুর্থ দিকে রয়েছে ৮ ফুট চওড়া করে রয়েছে চারটি মিনার।দক্ষিণ দিকের মিনারের শীর্ষে কুঠিরের নাম রোশনাই কুঠির এবং মসজিদের মিনারে উপরে উঠার সিড়ি আছে।প্রাচীন মসজিদ টি ছোট ইট দিয়ে তৈরী,দৈর্ঘ্য ১৬০ ফুট,প্রস্থ ১০৮ ফুট,উচ্চতা ২২ ফুট রয়েছে।
মসজিদের সম্মুখ দিকের মধ্য স্হলে একটি বড় খিলান এবং মসজিদে দুই পাশে ৫ টি করে খিলান আছে।
ষাট গম্বুজ মসজিদের পশ্চিম দিকে প্রধান মেহরাবের পাশে সুন্দর একটি দরজা সহ মোট ২৬ টি দরজা রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর বিভাগের পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের জন্য ঐতিহাসিক এই খানজাহান আলী (রঃ) মাজার শরীফের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন।বিশ্বের ইউনেস্কো এ ষাট গম্বুজ মসজিদ টি তালিকায় অমত্মভূক্ত করেছে।
বাগেরহাট শহরের লোক জন শহ বাহিরে দেশের লোক জন এক সাথে মিলে জুম্মার নামাজ আদায় করেন।এখানে এসে মোহান আল্লাহর কাছে মানুষ তার চাওয়া পাওয়া কথা বলে তাকে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ পশ্চিম পাশে রয়েছে একটি দিঘি, সেই দিঘিতে রয়েছে অনেক রকমের মাছ।ভিন্ন রকমের শাপলা ফুল।দিঘি দুই পাশে রয়েছে লোক জনের বসার ব্যবস্থা। তার আশ পাশ ঘিরে রয়েছে হরেকরকম দোকান পাঠ।মাটির কিছু কারুকাজ জিনিস দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়।দিঘিটি আস পাশে পরিবেশ টা মুগ্ধতা এনে দেয়।
ষাট গম্বুজ মসজিদ আসে পাশে রয়েছে ফুলের বাগান।বিভিন্ন প্ররকারে ফুলে সমারোহে সমৃদ্ধ। সারি সারি ফুলে বাগানের মধ্যে থেকে রাস্তা রয়েছে।
এই মসজিদের ইতিহাস শেষ হবে না কোন দিন।বাগেরহাট শহরের বাহিরে লোকজন আসে দেখতে।এমন কি দেশের লোকের ছেয়েও বিদেশ থেকে লোকজন আসে প্রতি নিয়োত দেখতে এই মসজি টি কে।
যাদু ঘরে রয়েছে অনেক পুরানো আমলের জিনিস পত্র। সাজিয়ে রেখে দিয়েছে ঘাদু ঘরে মধ্যে। রয়েছে লোক জনের নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা।
আপনারা কেউ যদি ভ্রমনে বা গুরতে আসেন।
বাংলাদেশের একটি অন্যতম একটি পযর্টক কেন্দ্র হিসেবে বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদ টি খুব প্রসিদ্ধ। সারা বছর এখানে পযর্টকদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতোন। স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন যায়গায় ও বিদেশ থেকে লোক আসছে।
শীতে কালে লোকের চাপ বেশি হয়।
কি করে আসবেন আপনারা----
কার জীবনে শৈশব থেকেই স্বপ্ন তাকতে পারে ষাট গম্বুজ মসজিদ দেখার।বাংলাদেশের দক্ষিণের খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলা অবস্থিত। ১৫ শতকের প্রাচীন দৃশ্য।
আপনারা বাগেরহাট জেলা বাস স্ট্যান্ড প্রথমে আসবেন।সে খান থেকে আপনারা অটোরিকশা, ইজিবাইক, মাইক্রোবাস, সিএনজি, রিক্সার নিয়ে আপনারা ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদে যাওয়া যায়।গাড়ি থেকে নেমেই রাস্তার ডান পাশে ষাট গম্বুজ মসজিদ দেখতে পাবেন।
লেখক-মোঃমনিরুল ইসলাম (মুন্না)
0 Comments: